আফগানিস্তানে তালেবান যোদ্ধারা পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদের দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। তারা জানায়, জালালাবাদ দখল নিতে তালেবানদের কোনো বেগ পেতে হয়নি।
যুদ্ধ ছাড়ায় এ গুরুত্বপূর্ণ শহর তারা দখল নিয়েছে তালেবান। আলা জাজিরা আরও জানাচ্ছে, জালালাবাদের পতনের পর এখন বড় কোনো শহর হিসেবে একমাত্র রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণই দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের হাতে রয়েছে।
রোববার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোরে শহরটি দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। জালালাবাদ রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ৮০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। এদিকে জালালাবাদ শহর দখলে নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছবি পোস্ট করেছে তালেবান।
এক আফগান কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, এখানে কোনো যুদ্ধ হয়নি। কারণ গভর্নর নিজেই তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর একমাত্র পথই হচ্ছে বিনা বাধায় তালেবানের হাতে শহরটি তুলে দেওয়া।
গত ৬ আগস্ট থেকে তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের অন্তত ২১টির রাজধানী নিজেদের দখলে নিয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানরা এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির উপপ্রধান মোল্লা আব্দুলগনি বারাদার। তিনি জানান, তাদের মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানের স্বাধীনতা অর্জন করা।
বারাদার বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে চায় না। আমরা মনে করি, আফগানিস্তানের সব শ্রেণির মানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান।
তিনি আরও বলেন, ইসলামি অনুশাসনের আওতায় সব আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি, মানবাধিকার, সংখ্যালঘুদের অধিকার, নারী অধিকার এবং বাক-স্বাধীনতার প্রতি তালেবান সম্মান প্রদর্শন করে। এ ছাড়া তালেবান নারীর শিক্ষা, চাকরি, সম্পদের মালিকানা ও ব্যবসা করার অধিকার প্রদান করবে। আর এসব হবে ইসলামি আইন ও জাতীয় স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে।