বরিশাল সিটি করপোরেশনে ইউএনওর বাসাবাড়িতে হামলার ঘটনায় ক্রমশ ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে সিটি কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্না এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন কালুকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বোনের বাসা থেকে মান্নাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তার বড় ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ মাসুদ আহমেদ রানা।
এদিকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম।
শেখ সাইয়েদ মান্না বরিশাল সিটির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মরহুম শেখ কুতুব উদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে।
এর আগে বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবন এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ একটি মামলা করে। সেই মামলার দুই নম্বর আসামি শেখ সাইয়েদ মান্না। একই মামলার ৪৬ নম্বর আসামি মমিন উদ্দিন কালু।
কাউন্সিলর মান্নার বড়ভাই শেখ মাসুদ আহমেদ রানা দাবি করেছেন, তার ছোটভাই মান্না ঢাকার মোহাম্মদপুর সিয়া মসজিদ এলাকায় বোনের বাসায় অবস্থান করছিলেন। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাদা পোশাকে আসা কয়েকজন লোক নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে মান্নাকে ধরে নিয়ে গেছে। তবে কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি জানায়নি তারা।
মমিন উদ্দিন কালুকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসা থেকে সাদা পোশাক পরা লোকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তার শ্যালক আরিফুর রহমান।
কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ মান্না ইউএনওর বাসায় হামলা এবং পুলিশের সরকারি কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই নম্বর এবং মমিন উদ্দিন কালু ৪৬ নম্বর আসামি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম।