ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে পারুল বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারুলের মৃত্যু হয়।
নিহত পারুল বেগম সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের পশ্চিমপাড়া খন্দকার বাড়ির শরিফ খন্দকারের মেয়ে।
হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের খোকা মিয়ার সঙ্গে তিন লাখ টাকার কাবিননামায় পারুল বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ছয় বছরের একটি ছেলে ও তিন বছরের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের সংসার সুখের ছিল না।
খোকা মিয়া যৌতুকের টাকার জন্য পারুলের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া করত। একাধিকবার উভয় পরিবারের লোকজন সালিশ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
গত দুই দিন আগেও যৌতুকের টাকার জন্য প্রথমে পারুলকে মারধর করেন খোকা। তারপর পারুলকে বিষপান করিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে আত্মীয়রা পারুলের শ্বশুরবাড়ি থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারুল মারা যান। পারুল মারা যাওয়ার পর তার স্বামী-শাশুড়িসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
সদর মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল সূত্রে জেনেছি একজন মহিলা বিষপান করে মারা গেছেন। তবে কেউ বিষপান করিয়ে হত্যা করেছে কিনা তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা কঠিন। নিহতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।