ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারো গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৬ জন, যাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনই শিশু। এদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুর মাথায় গুলি লেগেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, ৫২ বছর আগে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে আগুন লাগানোর প্রতিবাদে গাজায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল হামাস। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শত শত ফিলিস্তিনি মালাক্কা শরণার্থী ক্যাম্পের দিকে রওয়ানা দেন।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সীমান্ত দেয়ালের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করলে তাদের ওপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১০ শিশুসহ অন্তত ২৬ জন আহন হন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছে, সীমান্ত দেয়ালের কাছে কয়েকশ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে দাঙ্গা দমন সরঞ্জাম, অর্থাৎ প্রয়োজনে ০.২২ ক্যালিবার গুলি ব্যবহার করে সেনারা।
গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধের পর ইসরায়েল-হামাস সমঝোতায় পৌঁছানোর ঠিক তিন মাসের মাথায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের গুলিবর্ষণের এই ঘটনা ঘটল। গত মে মাসে টানা ১১ দিনের ওই যুদ্ধে গাজায় ক্রমাগত বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৬৭ শিশুসহ প্রাণ হারায় অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি। জবাবে ইসরায়েলের দিকে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো। এতে এক শিশুসহ মারা যায় অন্তত ১৩ জন।