fbpx
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
বাড়িচট্টগ্রামকক্সবাজারহামলাকারীদের ধরতে গিয়ে হামলায় ৩ পুলিশ আহত, ১০ রাউন্ড গুলি

হামলাকারীদের ধরতে গিয়ে হামলায় ৩ পুলিশ আহত, ১০ রাউন্ড গুলি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরীর ভাই এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী (৩৫) ও মামাতো ভাই মো.আরাফাতের (৩২) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী।

স্থানীয় লোকজন জানান, মঙ্গলবার সকালে এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী ও মো. আরাফাত মোটরসাইকেলে করে পেকুয়া সদরের দিকে যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেলটি মগনামা বাজারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ৮ থেকে ১০ জন দুর্বৃত্ত এসে তাদের গতি রোধ করে হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা কিরিচ ও লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ ওরফে মাদুসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, চিহ্নিত দুর্বৃত্ত মমতাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খোরশেদুল আলম, রোকন উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, ছলিমসহ ৮ থেকে ১০ জন কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে তার ভাই এনায়েত উল্লাহকে হত্যার চেষ্টা চালান। নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিরোধের জেরে তার ভাইকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। হামলাকারীরা সবাই মুহুরীপাড়ার বাসিন্দা ও চিহ্নিত।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ মুহুরীপাড়া এলাকায় হামলাকারীদের ধরতে অভিযানে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় মুহুরীপাড়া মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে লোক জড়ো করা হয়। তখন নারীরাও লাঠি-সোটা হাতে ঘর থেকে বের হন। এ সময় পুলিশ নাজেম উদ্দিন (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।

হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক তৌহিদুর রহমান, কনস্টেবল আল আমিন ও ইমরান হোসেন। আহত পুলিশ সদস্যরা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পেকুয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ মগনামার মুহুরী পাড়া এলাকায় গেলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর একযোগে আক্রমণ করতে বলা হয়।

এ সময় নারীদের সামনে দিয়ে অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালানো হয়েছে। তাদের আক্রমণে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ওসি আরও বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান। এসময় তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। মগনামায় দ্রুততম সময়ের  মধ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে।

মগনামা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মগনামার লঞ্চঘাট, ফুলতলা, মুহুরীপাড়া ও কাজি মার্কেট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার বিরোধী পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments