লর্ডস টেস্টে ভারতীয় ও ইংলিশ ক্রিকেটারদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, মাঠের তর্কাতর্কি, আর নতুন কি! তবে এইবার ইংলিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফের তথ্য অনুযায়ী কোহলি-রুটদের মাঠের কথা-কাটাকাটি পৌঁছে গিয়েছিল লর্ডসের বিখ্যাত লং রুমেও।
খেলোয়াড়েরা ড্রেসিং রুম থেকে মাঠে আসা যাওয়াও করেন লং রুম দিয়ে। টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে এখানেই বিবাদ ও কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ভারত ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। লর্ডসের লং রুম ক্রিকেট ঐতিহ্যেরই অংশ। সাধারণত এ জায়গায় মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যরা বসেন।
লর্ডস টেস্টে ঝামেলাটা বাধে যশপ্রীত বুমরার সেই ১০ বলের ওভারটি থেকেই। স্ট্রাইকে ছিলেন জিমি অ্যান্ডারসন। সে ওভারে অ্যান্ডারসনকে একের পর এক বাউন্সার বল দিয়েছিলেন ভারতীয় এই পেসার। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও ক্রীড়াসুলভ মানসিকতায় নেয়নি ইংল্যান্ড। ঘটনাটির শোধ তোলার সুযোগ খুঁজতে থাকেন রুটরা। অবশেষে সুযোগ আসে পঞ্চম দিনে বুমরা ব্যাটিংয়ে নামলে। অধিনায়ক জো রুট মার্ক উডকে দিয়ে শর্ট বল করান বুমরাকে। তৃতীয় দিনে মাঠ ছাড়ার সময় অ্যান্ডারসন আর কোহলিরও লেগে যায় কথা-কাটাকাটি।
তীব্র ঝগড়া হয় বিরাট কোহলি আর রুটের মধ্যে। লং রুমে গিয়েও ব্যাপারটা থেমে যায়নি। চলতেই থাকে।নিজ নিজ দলের খেলোয়াড় ও অন্য স্টাফরা আলাদা করেন দুই অধিনায়ককে। এর রেশ ছিল টেস্ট শেষ হওয়ার পরও।
লর্ডস টেস্ট রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে দারুণভাবেই। ভারত ও ইংল্যান্ডের লর্ডস টেস্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেবল কয়েকটি কথাতেই টেস্ট ম্যাচ বদলে যেতে পারে। স্রেফ কয়েকটি কথাই এই টেস্টে বড় ভূমিকা রেখেছে। উজ্জীবিত ভারতীয় ক্রিকেটাররা শেষ দিনে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দেন ইংল্যান্ডকে। ৬০ ওভারে ইংলিশদের অলআউট করার ‘কঠিন লক্ষ্য’ হাতে নিয়ে মাঠে নামলেও ভারত ৮.১ ওভার হাতে রেখেই ম্যাচটা জিতে যায়। অ্যান্ডারসনের স্লেজিং, কিংবা যা-ই বলা হোক না কেন, তাতিয়ে দিয়েছিল বুমরাকে, ভারতকে। ম্যাচ শেষে কোহলি বলেছিলেন, ইংলিশদের সঙ্গে কথার লড়াইটা আসল লড়াইয়ে জিততে ভালোই রসদ জুগিয়েছিল তাঁদের।