fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িঘটনা-দুর্ঘটনাব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী নৌকা-ট্রলারের সংঘর্ষ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী নৌকা-ট্রলারের সংঘর্ষ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী নৌকার সঙ্গে বালুবোঝাই একটি ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সদর উপজেলার লইছকা বিলে এ ঘটনা ঘটে। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন।

আঁখি আখতার নামের এক যাত্রী বলেন, বিজয়নগরের চম্পকনগর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় অন্তত ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে নৌকাটি। নৌকায় করে আমি, আমার ছেলে, ভাসুরের ছেলে ও শাশুড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছিলাম। পথে একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে নৌকাটি ডুবে যায়। আমি সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও আমার ছেলে, ভাসুরের ছেলে ও শাশুড়ির এখনও সন্ধান পাইনি।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান ও সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকায় ডুবুরিদলকে খবর দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নৌকায় শতাধিক যাত্রী ছিল। অনেক যাত্রী সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ নিখোঁজ রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।

এখন পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন নারী ও একজন শিশু। বিলের পাড়ে লাশ রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, একজনের লাশের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে হাতহতের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। নৌকাটি এখনো পানির নিচে রয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতারে চিকিৎসারত আহত নৌকা যাত্রী ফারুক মিয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার পথে বালুবাহী নৌকার ধাক্কায় তাদের ট্রলার (ইঞ্জিনচালিত নৌকা) ডুবে যায়। তার স্ত্রী ও মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

মুরাদ মিয়া জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন। কোনো রকমে সাঁতরে তারা তীরে উঠেন। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।

বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান রতন দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

এই মুহুর্ত পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন নারী এবং ১ জন শিশুও আছেন। যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে সেই নিহতরা হলেন- রুবিনা বেগম (৪০), মোসা. ফরিদা বেগম (৪০) স্বামী জজ মিয়া, অঞ্জনা (৪২) স্বামী পরিমল বিশ্বাস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. এমরানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ তদারকী করছেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments