ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নৌকাডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। রাত সোয়া ১২টা ৪৫ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত বেশ কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতেরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকূট গ্রামের আবদুল্লাহর কন্যা তাকুয়া (৮), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে আরিফ বিল্লাহ ওরফে মামুন ভূইয়া (২০), একই ইউনিয়নের গেরারগাঁও গ্রামের মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), একই গ্রামের জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), তার কন্যা মুন্নী বেগম (৬), একই ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ওরফে মন মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম, একই ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস (৩০), তার কন্যা ত্রিদিবা বিশ্বাস (আড়াই বছর), একই ইউনিয়নের গেরারগাঁওয়ের আবদুল হাসেমের স্ত্রী কমলা বেগম ওরফে রওশন আরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজলা বেগম, পৌর এলাকার দাতিয়ারার হাজী মোবাশ্বের মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মুরাদ মিয়ার ছেলে তানবীর (৮), একই ইউনিয়নের গাছতলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের জারু মিয়ার মেয়ে শারমীন (১৮), ময়মনসিংহ জেলার খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৫৫)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে আছেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ২১ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক উদ্ধারকারী দল ও ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। বালুবোঝাই ট্রলারটি পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে এবং আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ডুবুরি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পানির নিচে আর কোনো লাশ না থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। তবে নিখোঁজদের স্বজনরা গভীর রাত পর্যন্ত বিলের পাড়ের সড়কে অবস্থান করছেন।