ই-অরেঞ্জের জালিয়াতিতে জড়িত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে ভারতে থেকে দেশে ফিরেয়ে আনা হবে। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ভারতে মামলা হয়েছে, এ কারণে তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে কি-না সেটি নিশ্চিত নয়। তবে ফিরিয়ে আনার রাস্তা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এটি অনেক সময় করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি, ফিরিয়ে আনার জন্য। যদি এ মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে আটক করে।
আটককালে তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল, এটিএম কার্ড। এছাড়াও থাইল্যান্ডের এলিট প্রিভিলেজড কার্ড, দেশটির তিনটি ব্যাংকের ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড এবং ইংল্যান্ডের ক্রেডিট কার্ড।
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোহেল রানা আটক নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছুই জানেন না তারা।
তিনি বলেন, আমরা মূল ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছি। তবে তার টাকা তোলার একটি সংবাদ আমরা পেয়েছি এবং সে যেহেতু দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
এর আগে ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ বলছে, তারা বাংলাদেশ পুলিশের একজন ইনসপেক্টর শেখ মো. সোহেল রানাকে সীমান্তের ভারতীয় ভুখন্ড থেকে আটক করেছে। বিএসএফ কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে শুক্রবার বনানী থানার এই ইনস্পেকটরকে আটক করা হয়। বিএসএফ তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে।