আজ রোববার বিকেলে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে এসে নির্ধারিত ওভারের দুই বল বাকি থাকতেই ৭৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ৫২ রানের বিশাল জয় পায় কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে জিতে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেলের পর বল হাতে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে দিয়েছেন কিউই স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল। তার দুটি জোড়া আঘাতের ওভারে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ৫২ রানে জিতে সিরিজ ২-১ এ ফেরালো টম ল্যাথামরা।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে আসেন দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ। ১৭ বলে ২৩ রান তোলেন তারা। এরপর ৯ রানের ব্যবধানে পরপর চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। শুরুতে কোল ম্যাকনসিকের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন (১৫)। পরের ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের জোড়া শিকার শেখ মেহেদী, সাকিব আল হাসান। সপ্তম ওভারের শেষ বলে ওপেনার নাঈমকে ফেরান রাচীন রবীন্দ্র। টানা উইকেট খুঁইয়ে গর্তে পড়া দলকে টেনে তুলতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ। সাত বলে মাত্র তিন রান করে প্যাটেলের তৃতীয় শিকার হন তিনি। একই ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান এই স্পিনার। স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে দেন তিনি।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা সোহানের সঙ্গে মুশফিকের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে পারতেন সোহান। কিন্তু ভাগ্যের সহয়তায় অল্পের জন্য রক্ষা মেলে তার। জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। মাত্র ৮ রান করে রবীন্দ্রের শিকার হন তিনি। অষ্টম উইকেটের জুটিতে মুশফিককে সঙ্গ দিতে পারেননি সাইফউদ্দিন। ৮ রান করে ম্যাকনসিকের লেগ বিফোঁরের ফাঁদে পড়েন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান নাসুম আহমেদকে বোল্ড করে ফেরান স্কট কাগেলেইন। শেষের দিকে মুশফিকের ২০ রানে ভর করে দুই বল বাকি থাকতেই ৭৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ৫২ রানের বড় জয় পায় কিউইরা।
এর আগে, ব্যাট করতে এসে ঝড়ো শুরুর আভাস দেন ফিন অ্যালন। তৃতীয় ওভারে এসে কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকানো বিধ্বংসী এই ওপেনারকে থামান মুস্তাফিজুর রহমান। ১৫ রান করে মিড-অনে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হন তিনি। তিনে এসে ওপেনার রাচীন রবীন্দ্রকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন উইল ইয়াং। এই জুটিতে আসে ৩০ রান।
এরপর ইয়াংকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফেরান সাইফউদ্দিন। ২০ বলে ২০ রান করা এই ব্যাটসম্যান আপিল করলেও রিভিউতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত থাকে। একই ওভারের শেষ বলে নতুন ব্যাটসম্যান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন সাইফ। টানা দুই রিভিউতে ব্যর্থ ফল আসে কিউইদের পক্ষে। দশম ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার রবীন্দ্রকে ফেরান অধিনায়ক রিয়াদ। বোল্ড হওয়ার আগে ২০ বলে ২০ রান যোগ করেন তিনি।
গত ম্যাচে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করা কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে বেশি সময় উইকেটে থিতু হতে দেননি শেখ মেহেদী। মাত্র ৫ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান এই অফ স্পিনার। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে নিকোলসের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন টম ব্লান্ডেল। এই যুগলের ৬৬ রানের জুটিতে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তোলে কিউইরা।