নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের তিন পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আহ্বানকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী পৌর এলাকায় আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সেখানে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আজ দুপুর পৌনে ১২টায় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সমর্থকরা টাউন হলের মোড় থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিল চলার একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দেয় ও লাঠিচার্জ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, কিছু লোক ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলের চেষ্টা করেছে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ১১ জনকে আটক করে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানান, ১৪৪ ধারা চলাকালীন মাইজদী শহর ও আশপাশের (মাইজদী, দত্তেরহাট, সোনাপুর) এলাকার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই সব এলাকায় চারজনের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবে না। এছাড়াও দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৬ জন র্যাব সদস্য ও শতাধিক পুলিশ সদস্য নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় টহল দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন কর্তৃক সমাবেশ ও জনসভা করার ঘোষণা দেন।
একই সময় নোয়াখালী পৌর সভায় আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রার ঘোষণা দেন মেয়র সহিদ উল্লাহ খান। এই পরিস্থিতিতে পৌর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রবিবার সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।