ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার লইসকা বিলে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবিতে ২৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আনোয়ার সাদাত আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
বিজয়নগর থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন- জমির মিয়া (৩৩), মো. রাসেল (২২), খোকন মিয়া (২২), মো. সোলাইমান (৬০) ও মিন্টু মিয়া (৬৭)।
আসামিদের মধ্যে মিন্টু মিয়া বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকাঘাটের ইজারাদার। ওই ঘাটে তার একটি যাত্রীবাহী নৌকাও চলাচল করে। পুলিশ কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ হাছান জানান, দুই বাল্কহেডের মাঝি, সহযোগী ও মালিকরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছেন-যাত্রীবাহী নৌকাটি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। নৌকাটি বাম দিকে মোড় নেওয়ায় ধাক্কা লাগে। এছাড়াও একটি বাল্কহেডের চালক জামির মিয়া ও তার দুই সহযোগী তাদের জবানবন্দিতে ঘটনার সময় তারা বাল্কহেড চালাচ্ছিলেন এবং সেটির কোনো ফিটনেস ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইসকা বিলে একটি যাত্রীবোঝাই নৌকা বিপরীত দিক থেকে আসা দুই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ডুবে যায়। নৌকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার নৌকাঘাটের দিকে যাচ্ছিল। নৌকাডুবিতে ২৩ যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট দুই বাল্কহেডের মালিক, মাঝি ও সহযোগীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সেলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।