পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে জি-মেইল, ট্রু-কলার, আইকন ও হোয়াটস অ্যাপ, বিভিন্ন ব্যাংক ও বিত্তশালীদের ফোন করে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা থেকে মো. আরিফ মাইনুদ্দিন নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন এবং পাঁচটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন জানান, আরিফ একটি মোবাইল নম্বরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইজিপির ছবি ও পদবি ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলেন। এর পর তিনি বিভিন্ন দপ্তর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আসছিলেন। এসব অপকর্মে তিনি ০১৯২৬৪৫০৬০৯ নম্বরের একটি সিমকার্ড ব্যবহার করতেন। তিনি গত ২৬ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের হেড অফিসের হটলাইন নম্বরে এবং অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডে ফোন দেন। এর তিনদিন পর মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ফোন দিয়ে ড. বেনজীর আহমেদের নাম বলে অনৈতিক ও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। আসামি তার কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমটি কিনে প্রতারণা করতেন।
সম্প্রতি আইজিপি অফিস থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। আরিফ বিভিন্ন ব্যাংকে ফোন দিয়ে চাকরি ও টাকা চাইতেন। তবে তিনি এ পর্যন্ত কারও কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেননি।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন আরও বলেন, গ্রেপ্তার আরিফ মাইনুদ্দিন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করেছেন। তিনি ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হন। এর পরই এই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।