মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে আসা পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদে বোটে সুভলং ঝর্ণায় যাওয়ার পথে বিশাল কচুরিপানায় আটকা পড়েন। শত চেষ্টা করেও ছুটতে না পারায় সন্ধ্যায় পুলিশের জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন করেন। আটকে পড়া পর্যটকদের ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি শহরে নিয়ে আসে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কাপ্তাই লেকের অনিন্দ্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্থানীয় একটি ভাড়া টুরিস্ট বোট নিয়ে শুভলং ঝর্ণায় রওনা হয়। পরে সেখান থেকে রাঙ্গামাটি শহরে পৌঁছানোর উদ্দেশ্য দুপুর ১২টায় রওনা করে পর্যটক দল। কিন্তু পথেই ঘটে বিপত্তি, এরই মধ্যে কাপ্তাই লেকে সুবিশাল কচুরিপানার একটি ঝাঁক পর্যটকদের বোটকে আটকে ধরে। শত চেষ্টা করেও বোট চালক এই কচুরিপানার ঝাঁক অতিক্রম করতে পারেনি। বোট চালকের প্রাণপণ চেষ্টার একপর্যায়ে বোটের পাখা নষ্ট হয়ে যায়।
দুপুর ১২টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত কচুরিপানা পরিষ্কার করে নিজেদের উদ্ধারে চেষ্টা করে পর্যটক দল। দীর্ঘ ভ্রমণ করে সারাদিন কিছু না খাওয়ার ফলে সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়।
এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে দেখে পর্যটকদের মনে ভয় জাগতে শুরু করে। উপায়ন্তর না দেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয় তাদেরই একজন। পরে পুলিশ কাপ্তাই লেকে সাঁতার কেটে কচুরিপানার ঝাঁকের কাছে পৌঁছায়। কচুরিপানার কাছাকাছি গিয়ে দা, শাবাল দিয়ে কচুরিপানা কাটতে কাটতে সামনের দিকে এগুতে থাকে।
দীর্ঘ ১ ঘণ্টা কচুরিপানা পরিষ্কার করে পর্যটকদলের কাছে পৌঁছে পুলিশ সদস্যরা। উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের বিস্কুট, পানি প্রভৃতি দিয়ে পর্যটকদের ক্ষুধা নিবারণ করে।
জারুলছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা রাত নয় টার সময় জেলা পুলিশের পলওয়েল পার্কে পর্যটকদের নিয়ে আসে। এসময়, বাংলাদেশ পুলিশ, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ রাঙামাটি জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পর্যটকরা বলেন, চারদিকে যখন ঘোর অন্ধকার ছিল তখনই আলোর পথ দেখিয়ে নতুন জীবন দান করলো বাংলাদেশ পুলিশ ।