আফগানিস্তানে বিক্ষোভ দমনে তালেবানের কড়া পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের দাবি, আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে তালেবানের হামলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভিন্নমত পোষণকারীদের প্রতি তালেবানের ‘ক্রমবর্ধমান সহিংস প্রতিক্রিয়া’র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে নারীরা তাদের অধিকার এবং আরও বেশি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করছেন। আয়োজিত হচ্ছে বিক্ষোভ সমাবেশ।
জাতিসংঘ বলছে, তালেবানের সদস্যরা এসব বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি, চাবুক এবং গুলি ছুড়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাবিনা শামদাসানী বলেন, আমরা তালেবানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে যারা আন্দোলন করছে তাদের এবং যেসব সাংবাদিক এসব সংবাদ সংগ্রহ করছেন তাদের ওপর শক্তিপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আহ্বান জানাই নির্বিচারে যেন তাদের আটক না করা হয়।
শুক্রবার জাতিসংঘের এ মুখপাত্র বিক্ষোভ দমনে তালেবানের নিষ্ঠুরতার তীব্র সমালোচনা করেন।
তালেবানের পুনরুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভ চলছে। তবে গত বুধবার থেকে তালেবান অননুমোদিত জনসমাগম বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর বৃহস্পতিবার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে কাবুলে ইন্টারনেট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নির্যাতনের তীব্র সমালোচনা করা হয়।
দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এ প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যেই দেশের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর ১৫ আগস্ট দেশটির রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গোষ্ঠীটির হাতে।
প্রায় তিন সপ্তাহ পর তারা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে। সরকারে নারীদের কোনো প্রতিনিধি না থাকায় এবং নতুন সরকার নারী অধিকারের প্রতি যথেষ্ট সম্মান না দেখানোর কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। এসবে বিক্ষোভ দমনে তালেবান কঠোরতা অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। সূত্রঃ বিবিসি।