fbpx
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
বাড়িজাতীয়অপরাধপ্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে, অতঃপর ৫ স্ত্রীকে বিদেশে পাচার

প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে, অতঃপর ৫ স্ত্রীকে বিদেশে পাচার

ইরাকের রাজধানীর একটি হাসপাতালে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন বলে নিজেকে পরিচয় দেন। এ পরিচয়ে বাংলাদেশে ৬টি বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীদের ইরাকে নিয়ে যেতেন। এরপর সেখানে নিয়ে তাদের বিক্রি করে দিতেন।

এই ব্যক্তির নাম লিটন মিয়া। তিনি নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের মূলহোতা। বিয়ের পর এখন পর্যন্ত পাঁচ স্ত্রীকে দেশটিতে পাচার করেন তিনি।

বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে অভিযান চালিয়ে তাকেসহ তার আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। সহযোগীর নাম আজাদ। তাদের কাছ থেকে একটি বিলাসবহুল প্রাইভেটকার, বিয়ার, দেশি-বিদেশি জাল টাকা, পাসপোর্ট ও বিভিন্ন সিল উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লিটন মিয়া ১৯৯২ সালে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে চাকরি শুরু করেন। মিথ্যা প্ররোচনা ও অনৈতিক কাজের জন্য সেখান থেকে তার চাকরি চলে যায়। এরপর লিটন ইরাকে যান। তখন নিজেকে ইরাকের বাগদাদে একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে চাকরি করতেন বলে পরিচয় দিতেন। পরে কয়েকজন মিলে ইরাকে নারীপাচার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

লিটন নারীদের প্রথমে ইরাকে মেডিকেল চাকরির প্রলোভন দেখাতেন। এভাবে সখ্য গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখান এবং পাঁচ-ছয়জনকে বিয়ে করেন। অনেককে টেলিফোনে কিংবা সরাসরি দেশে এসে বিয়ে করেছেন। লিটন ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ইতালিতে ছিলেন। এই সময়ই তিনি বিয়েগুলো করেন। এসব বিয়ে লিটন পাচারের উদ্দেশ্যে করেন।

গ্রেফতার দুজন সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সদস্য। বিশেষ করে বিউটিপার্লারে কাজ জানা নারী ও নার্সিং পেশায় নিয়োজিত নারীদের পাচার করতেন তারা। সেখানে সুপারশপে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা নারীদের পাচার করতেন। ইরাক, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে নিয়ে জিম্মি করে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন। এসব দেশে তাদের একাধিক সেফ হাউস আছে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নারী-পুরুষকে তারা পাচার করেছেন। এর মধ্যে ৩০-৪০ জন নারী।

‘মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে নারীদের বিক্রি করে দেওয়া হতো। চক্রের ১০ সদস্যের মধ্যে সাতজন ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যে আর বাকিরা দেশে এই কাজ করছিল। তিন থেকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে এসব নারীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যাওয়া হতো। মানবপাচারের প্রথম ধাপে ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই এরপর ভিজিট ভিসার মাধ্যমে ইরাকে নেওয়া হতো’, জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments