নোয়াখালীর সেনবাগে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল ৮টার দিকে অভিযুক্ত যুবককে উপজেলার কানিলপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ছেরাজুল হক মামুন (৩০) উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নর পূর্ব কাবিলপুর গ্রামের মিজিবাড়ির এনাম হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুলাই প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে মামুন ও তার সহযোগী কামাল হোসেন সাদ্দাম জোরপূর্বক মুখ চেপে একটি ঘরের পেছনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা রোববার সকালে সেনবাগ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ধর্ষক মামুনকে গ্রেফতার করে।
সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে নারীও নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।