চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করায় হাইকোর্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নিম্ন আদালতের দুই বিচারক। দুই বিচারক হলেন, দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
রিমান্ডের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ওই দুই বিচারক লিখেছেন-এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
বুধবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করার ব্যাখ্যা হাইকোর্টের কাছে জমা দিয়েছেন রিমান্ড মঞ্জুরকারী দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ ব্যাখ্যা দাখিল করা হয়েছে
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরিমণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পরীমণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন।
এদিকে, হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ বিষয়ে আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে।
গত ৪ আগস্ট রাতে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় তিন দফা রিমান্ডে নেয় সিআইডি। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমণিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের আদেশের আলোকে পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।