চুয়াডাঙ্গায় এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষনের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান।
তিনি মামলার নথির বরাতে বলেন, ওই নারী বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে জীবিকা চালাতেন। তিনি আসমানখালি গ্রামের মিজানুর রহমান কলু নামে এক ব্যক্তিকে কাজ খুঁজে দিতে বলেন। কলু তাকে আসমানখালি বাজারে যেতে বলেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ওই নারী আসমানখালি বাজারে গেলে তাকে কৌশলে নিয়ে যাওয়া হয় বাজারের একটি দোতালা ভবনে। সেখানে তাকে আটজন ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আটজনকে আসামি করেই থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে মামলা দায়েরের পর অভিযান পরিচালনা করে মুলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক অবস্থায় রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
মামলা দেরিতে করার কারণ প্রসঙ্গে পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই নারীর মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই। আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ-পরামর্শ করে থানায় এসে মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন।