কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে দুই তরুণ ও সৈকত সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একদিনে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পর্যটকসহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সৈকতের উদ্ধারকর্মীরা জানান, শুক্রবার দুই দফায় সৈকতের সি-গাল পয়েন্ট থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাগরের পানিতে ভেসে এসেছে এ দুইজনের মরদেহ।
বিকাল ৩টার দিকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাক ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। উদ্ধারকর্মীরা তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর দুই ঘণ্টা আগে দুপুর ১টার দিকে সৈকতের একই স্থানে আরও এক তরুণের মরদেহ ভেসে আসে।
তার আনুমানিক বয়স ১৮ বছর। উদ্ধারকর্মীরা মরদেহটি দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তাকেও মৃত ঘোণণা করে চিকিৎসক।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সৈকতে যে তরুণের মরদেহ ভেসে এসেছে। তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো. ইমন (১৮)। তিনি কক্সবাজার শহরের কলাতলী চন্দ্রিমা মাঠ এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এসপি জিল্লুর রহমান জানান, বিকাল ৩টার দিকে সৈকতের একই পয়েন্ট থেকে আরও এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এসপি।
এদিকে শুক্রবার বিকালে কলাতলী এলাকায় বে ওয়ান ডাচ্ হোটেল থেকে রাফসানুল হক (৩২) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হোটেল রেজিস্ট্রারে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার এলাকায়। তার বাবার নাম সৈয়দুল হক।