কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া দুই যুবকের বাড়ি যশোর শহরে। দু’জনেই অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। দু’জনের পরিবারই যশোর শহরে সুপরিচিত।
নিহত রাফিদ ঐশিকের পিতা কাসেদুজ্জামান সেলিম শহরের ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কবি। আর ফারাবী অভ্রর পিতা শাহরিয়ার মেহের শহরের আব্দুর রাজ্জাক কলেজের শিক্ষক। স্বজনরা জানান, চারদিন আগে ছয় বন্ধু একসাথে কক্সবাজার বেড়াতে যান।
রাফিদ ঐশিকের পিতা কাসেদুজ্জামান সেলিম বলেন, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হতেই পারে। কিন্তু তার সাথে তো আরও বন্ধুবান্ধব ছিল। ছেলের নিখোঁজ ও মৃত্যুর খবর তিনি ২৪ ঘণ্টা পর কেন জানলেন তার কোনো উত্তর পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ছেলে বেড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার থেকে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে তারা জানতে পারেন যে সমুদ্র সৈকত থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে তার কিছু বলার নেই। তবে এটি যদি পরিকল্পিত কোনো হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই যেন এর বিচার হয়।
রাফিদের বাড়ি যশোর শহরের উপশহর এলাকায়। আর অভ্রর বাড়ি শহরের লালদীঘী এলাকায়। শনিবার বিকেলে দুই বাড়িতে গিয়েই দেখা যায় মানুষের ভীড়। খবর পেয়ে স্বজন ও বন্ধুরা বাড়িতে যাচ্ছেন। কক্সবাজারে ময়নাতদন্তের পর দু’জনের মরদেহ যাতে দ্রুত যশোর আনা যায় সে ব্যাপারে দুই পরিবার থেকেই চেষ্টা করা হচ্ছে।