বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনাকে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রতি ভীতি প্রদর্শনের আরও একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে সরকার। এ ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তা থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। সত্য প্রকাশে নির্ভীক সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরার পর এখন জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে ও ডিআরইউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টির আরো একটি নতুন কৌশল নিয়েছে সরকার। এটা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যমূলক। নজিরবিহীন এ ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশের বিরুদ্ধে চরম হুমকি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের ঘোষণায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কোন স্বাধীনতা নেই। বিভিন্ন কায়দায় দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কর্তৃত্ববাদী সরকার। দেশে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত করাই আওয়ামী লীগের অভিষ্ট লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে বাস্তবে রুপ দিতে বর্তমান অনৈতিক সরকার নির্ভীক সাংবাদিকতার কলম চেপে ধরছে। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং ভয় ও আতঙ্ক দূর করে সত্য প্রকাশে দেশের বিবেক তথা গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমের কর্মীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহবান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, সমগ্র দেশটা এখন আওয়ামী দুঃশাসনের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে ভোটারবিহীন সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী ও বিরুদ্ধ মতবাদের নাগরিকদের ওপরই জুলম-নির্যাতন চালাচ্ছে। এখন তারা গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও সত্য প্রকাশের কারণে নিষ্ঠুর নির্যাতন শুরু করেছে। ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।