স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী শনিবার থেকে আরটি-পিসিআর মেশিনে করোনা টেস্ট করতে পারবেন প্রবাসী যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে ল্যাব বসানোর স্থান পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, ৬ টি ল্যাবে বসবে ১২টি মেশিন। সবকিছুই প্রস্তুত হয়ে গেছে। এই ল্যাব বসলে ২৪ ঘণ্টায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বিমানবন্দরে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এসময় লক্ষীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার খান, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, সিটিসি অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম, প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বসির বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল-আহসান, বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি রেমিটেন্স। সেটির যোগান দেয় আমাদের প্রবাসী শ্রমিকেরা। কিন্তু মহামারি করোনায় কাজ হারিয়ে দেশে আসেন বহু শ্রমিক। পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলে কাজে ফেরার সুযোগ পান তারা।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরে দ্রুত করোনার টেস্ট করার সুযোগ না থাকায় কয়েকটি দেশের শর্ত ছিল আরটি-পিসিআর বসাতে হবে। দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আন্দোলন-বিক্ষোভও করেন প্রবাসীরা। অবশেষে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের দু’সপ্তাহের বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে বসছে আরটিপিসিআর ল্যাব।
বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসব প্রতিষ্ঠানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব বসাতে অনুমোদন দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।