ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনকারী গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৬৭ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট গেয়েন্দা অধিদপ্তর। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় ব্যাংকটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে।
এ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বৃহস্পতিবার বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে প্রায় ৬৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দারা। গ্রামীণ ব্যাংকের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন এবং মামলার নথিপত্র ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যাতে প্রতি মাসের সকল আয় ও ক্রয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রযোজ্য ভ্যাট পরিশোধ করে, তা পর্যবেক্ষণ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, আজকে ভ্যাট অফিসের লোকজন গ্রামীণ সেন্টারে এসেছিল। তারা মঙ্গলবার দেখা করতে বলেছে। কিন্তু মামলার বিষয়ে তো কিছুই বলেনি। একটি ‘সামাজিক প্রতিষ্ঠান’ হওয়ায় ভ্যাট থেকে আব্যাহতির সুবিধা ভোগ করে আসছিল গ্রামীণ ব্যাংক। এখন নতুন নিয়মে এ ব্যাংক ভ্যাটের আওতায় পড়ে কি না, তা তাদের দেখতে হবে।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বলছে, তাদের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার কায়সারের নেতৃত্বে একটি দল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের হিসাব পর্যালোচনা করে অনিয়মের বিষয়টি উদঘাটন করেন।
তাদের তদন্তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রামীণ ব্যাংক এস ৫৬ কোডের আওতায় ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে; কিন্তু ভ্যাট আইন অনুযায়ী নিবন্ধন নেয়নি।