ঘটনার পর প্রায় দুই দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু রেশ এখনও টাটকা। মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন কলকাতায় কেকেআর ম্যাচের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন, তখন তাঁকে তীব্র সমালোচনায় দুষলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ।
শুধু শেহবাগ নন জয়পুরে সেই ম্যাচে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোনির আচরণ দেখে অনেকেই বিরক্ত। এবং প্রত্যেকের বক্তব্যও প্রায় একই, “কাজটা ঠিক করেননি ধোনি”। শেহবাগও সেই কথা মেনে নিয়েছেন।
ধোনি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শেহবাগ জানিয়েছেন, “আমার মনে হয় না ওর ওই সময় মাঠে নামা উচিত হয়েছিল, বাইশ গজের উপর দুই ব্যাটসম্যান তো ছিল। ওরা তো আম্পায়ারের সঙ্গে ব্যাপারটা নিয়ে কথাও বলছিল।” শেহবাগ সঙ্গে যোগ করেছেন, “ধোনির ম্যাচ ফি থেকে জরিমানা নেওয়া হয়েছে, যেটা কিছুই নয়। উচিত ছিল তাকে অন্তত একটা ম্যাচ নির্বাসনে পাঠানো। দুইট ম্যাচ হলেও আমি মনে করি সঠিক হতো কারণ এরপর বাকি ক্যাপ্টেনরাও ওর মতো ব্যবহার করবে। সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলেও মাঠে নেমে তর্ক শুরু করবে। এতে ক্রিকেটের স্পিরিটের ক্ষতি হবে। এবং আম্পায়ারদেরও অপমান হবে।”
শেহবাগ আরও বলেছেন, “ধোনি যদি এটা ভারতীয় দলের জন্য করত তাহলে আমি ওকে সাপোর্ট করতাম। ওর বয়স বেড়েছে। এক-দেড় বছরের মধ্যে অবসরও নিতে পারে। কিন্তু এমন মেজাজ হারিয়ে মাঠে ঢুকে পড়তে দেখিনি কখনও। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় ও বরাবর মাথা ঠান্ডা রেখেছে। চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন বলেই হয়তো মেজাজ হারিয়েছে ও। ধোনি চেন্নাইয়ের প্রতি বেশি আবেগপ্রবণ।” কিন্তু শেহবাগের মতে, ধোনির থেকে এমন আচরণ তিনি আশা করেননি। এবং ভেবেছিলেন, কঠিন শাস্তির মুখেই পড়বেন তিনি। জঘন্য একটা কাজ করে খুব সহজে ছাড় পেয়ে গেল। ম্যাচ রেফারির এখানে দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। ধোনিকে তাঁর বলা উচিত ছিল, মাঠে যখন দু’জন আম্পায়ার খেলা পরিচালনা করছে তুমি কেন মাঠে ঢুকেছ? এবং কোনও ক্যাপ্টেন আম্পায়ারের ওপর প্রভাব খাটাতে পারে না। এটা অপরাধ।”