
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। পৃথক ঘটনায় নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে আরো এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে ও ভোরে এসব ঘটনায় মোট চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ। এই দুই ঘটনায় নিহতরা হলেন-জুনায়েদ, আয়ুব, মেহেদী হাসান ও ইমরান মোল্লা।
থানার অফিসার ইন চার্জ জানান, শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের নুরউল্লা ঘোনা পাহাড়ে ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির জন্য সমবেত হয়েছে জানতে পেরে পুলিশ অভিযানে যায় । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি করতে থাকে। পরে পাহাড় ঘিরে পুলিশও গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জুনায়েদ, আয়ুব, মেহেদী হাসান ও মোস্তাককে গ্রেপ্তার করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক জুনায়েদ, আয়ুব, মেহেদী হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ ও ২৫ রাউন্ড গুলি। এসময় গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব, কনস্টেবল মেহেদীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার দিবাগত রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগাপাড়া এলাকায় দু’দল সন্ত্রাসীর গোলাগুলিতে ইমরান নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাইফুদ্দিন শাহিন ও মো. সিদ্দিক নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।