
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সহকর্মী সোহরাবের কাছ থেকে কিছুদিন আগে মাত্র ৭শ’ টাকা ধার নিয়েছিল আরিফ। সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় আরিফকে খুনের পরিকল্পনা করে সোহরাব। পরিকল্পনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার রাতে হোসিয়ারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আরিফকে ওয়াকওয়েতে ডেকে নিয়ে যায় সোহরাব।
এক পর্যায়ে আরিফের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সোহরাব ও তার সহযোগিরা। এরপর আরিফের বুকেসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাত করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। এসময় আরিফের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহরের খানপুরে ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন মিরাজ নামে আরিফের এক সহকর্মী যুবককে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যায় জড়িত অভিযোগে মিরাজকে আটক করে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।