“কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে ডিআইজি প্রিজন (হেডকোয়ার্টার্স) বজলুর রশীদের ঘুষের টাকা পাঠানোর ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
“গত বুধবার(৯ অক্টোবর ২০১৯) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি করা হয়। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
“জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান বুধবার(৯ অক্টোবর ২০১৯) সাংবাদিকদের বলেন, ‘বজলুর রশীদের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, এর সবই তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ‘তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, ‘বেপরোয়া ডিআইজি প্রিজনের ঘুষ কাণ্ড, স্ত্রী কুরিয়ার সার্ভিসে নেন কোটি কোটি টাকা’ শিরোনামে ৬ অক্টোবর যুগান্তরে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায় তদন্ত কমিটি গঠনে বিলম্ব হয়।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, এত বড় ঘুষ কারবারের চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটি না হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।