fbpx
বাড়িসারাদেশচট্টগ্রামসমানে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের মূল্যের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে

সমানে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের মূল্যের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে

সমানে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের মূল্য কমতে শুরু করেছে। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রবিবার থেকে এ দাম কমা শুরু করেছে।  মূলত মিয়ানমার থেকে আমদানি দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় মূল্য হ্রাস পেতে শুরু করেছে বলে চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের একক বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবারও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট পেঁয়াজের বাজারে অভিযান চালিয়েছে। যেসব দোকানে মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয়ের সামঞ্জস্য পাওয়া যায়নি তাদের বিভিন্ন অঙ্কের অর্থের জরিমানা করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, পেঁয়াজের আড়তে পাইকারি মূল্য কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মূল্য হ্রাসের এ ঘটনা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ও ঢাকার বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি খুলেছে ইতোমধ্যে। তন্মধ্যে একটি গ্রুপের আমদানির পেঁয়াজ আজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এদিকে, ঢাকার একটি শিল্প গ্রুপের পক্ষে তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের বড় একটি চালান আজ সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। এছাড়া চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ আরও দুটি শিল্প গ্রুপের আমদানির পেঁয়াজ চলে আসার কথা রয়েছে।

এছাড়া ভারত সরকার সে দেশের চাষীদের দাবির মুখে রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় খুব শীঘ্রই সেখান থেকেও পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। যেহেতু, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার খবর হয়েছে সেক্ষেত্রে আমদানিকারকরাও সে দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের খুচরা বাজার ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল পণ্য সেহেতু এটি গুদামজাত করে রাখার কোন সুযোগ নেই। এমনিতেই তুরস্ক, মিসর এবং চীন থেকে জাহাজ বোঝাই করে আনার পথে পেঁয়াজের পচন শুরু হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দেশে এসে পৌঁছার পর আড়তে নিয়ে দীর্ঘসময় আটকে রাখার কোন সুযোগ থাকে না। আরও পচনের শঙ্কায় আড়তদাররা যত দ্রুত সম্ভব খোলাবাজারে, অর্থাৎ খুচরা পর্যায়ে ছেড়ে দিয়ে থাকে।

প্রসঙ্গত, গত দেড়মাসের বেশি সময় আগে ভারত হঠাৎ কর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওই সময় এমনিতেই পেঁয়াজের মূল্য উর্ধগতি ছিল। ভারত রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে পেঁয়াজের মুল্য সমানে বাড়তে থাকে। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গিয়ে কোথাও ১২০, আবার কোথাও ১৩০ টাকায় উন্নীত হয়। দেশের কয়েকটি স্থানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। ফলে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের মূল্যের উর্ধগতির বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়।

সরকার টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করলেও তা বাজারদরের উর্ধগতিকে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির অনুরোধ জানানোয় বেশকিছু শিল্প গ্রুপ এতে সাড়া দিয়েছে। আজ থেকে শিল্প গ্রুপের আমদানির পেঁয়াজ পৌঁছানো শুরু হচ্ছে। অপরদিকে মিয়ানমার থেকে আমদানি বেড়ে দ্বিগুণ হওয়া, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার খবর, সাথে জেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারি। এসব কিছুর প্রভাবেই অবশেষে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের মুল্য।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments