ঢাকার ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ চাপের। শুরুতেই মুজিব-উর-রহমানের প্রথম বলেই আউট এনামুল হক। অপর প্রান্তে তখন তামিম ইকবাল ছিলেন । তার কিছুক্ষণ পর মেহেদী হাসানও বিদায় নেয়। তখন তামিম অত্যন্ত সাবধানে খেলা চালিয়ে যান। ঢাকার ইনিংসের প্রথম চারটাও পাওয়ার প্লের পরের ওভারে হয়। পাওয়ার প্লে শেষে ঢাকার স্কোর ছিল ২ উইকেটে ২৮। তামিম ইকবাল তাঁর প্রথম ২১ বলে করেন মাত্র ১৩ রান ।
জাতীয় দলের আরেক ওপেনার ও সঙ্গী সৌম্য সরকারকে পেয়ে ইনিংসের দশম ওভারে প্রথম ছক্কা হেঁকেছেন তামিম। ১০ ওভার শেষে ঢাকার স্কোর ৫৯।
তামিমের ২৯ রান ঠিক ৩০ বল। ঠিক তখনই শুরু করেন তামিম। সৌম্যর বলেই ফিফটি ছোঁয়ার আগে আরও দুই ছক্কা মারা হয়ে গেছে তাঁর। ৪০ বলে ফিফটি ছোঁয়া তামিম যোগ্য সঙ্গী পেয়েছেন থিসারার মাঝে। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার উইকেটে এসেছেন ১৫তম ওভারে। ঢাকার স্কোর তখন ১০১। মাত্র ১৫ বল স্থায়ী জুটিতে ৪৮ রান তুলেছেন দুজন। এর মাঝে আবু হায়দারের একটি খরুচে ওভার দিয়েছেন। তার মাত্র ৫ বল থেকেই ২২ রান তুলেছেন থিসারা পেরেরা।
দাসুন শানাকাকে পরপর দুই বলে চার ও ছয় মারতে যেয়ে গিয়ে ১৭তম ওভারের শেষ বলে দলকে ৭৪ মুল্যবান রান দিয়ে বিদায় নেন তামিম। ফর্ম ধরে রেখে দ্বিতীয় বলেই বিদায় নিয়েছেন শাহিদ আফ্রিদি। পেরেরাও নিজের শুরুর মূর্তি ধরে রাখতে পারেননি বলে দুই শ ছোঁয়া হয়নি ঢাকার। প্রথম ৭ বলে ২৭ তোলা পেরেরা ১৭ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।