হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ধূম্রজাল কাটছে না। আজ হবে, কাল হবে- করে যাচ্ছে দিন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষা শুরু করার কথা থাকলেও গত ৩ দিনেও শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শুধু পেছাচ্ছেই দিনক্ষণ।
বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হলেও এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কবে নাগাদ করোনার র্যাপিড টেস্ট শুরু হবে। অথচ দুই মন্ত্রী বিমানবন্দরে পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন শনিবার থেকে বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হবে। পরে জানানো হয় রবিবার থেকে শুরু হবে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রবিবারওও টেস্ট শুরু হচ্ছে না। সোমবারেও শুরু হবে কী না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ১২ আরটি-পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ করেছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, আরটি-পিসিআর মেশিনের সক্ষমতা যাচাইয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন কর্মীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তারা কেউ যাত্রী নন। পরীক্ষার ফল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে শুরু হবে বিমানবন্দরে প্রবাসী যাত্রীদের করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা। এরপর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়ে পরীক্ষা চালুর বিষয়ে যাত্রীদের জানাবে। এরপর যাত্রীরা ফ্লাইটের টিকিট বুকিং দেবে। ফ্লাইটের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর টেস্ট শুরু হবে।
বিমান উড্ডয়নের সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টা আগে করোনার র্যাপিড টেস্ট করার শর্ত দিয়েছে আমিরাত। এ কারণে গত মে থেকে দেশটিতে কর্মরত প্রবাসীরা যেতে পারছেন না। তাদের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে দু-তিন দিনের মধ্যে ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ল্যাব বাছাইয়ে সমন্বয়হীনতা ও বারবার সিদ্ধান্ত বদল, টানাপোড়েনে ২০ দিনেও পরীক্ষা শুরু করা যায়নি।