চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় সাগর পথে ইয়াবা পাচারকালে ১২ কোটি টাকা মূল্যের ৩ লাখ ৯৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১২ জন রোহিঙ্গাসহ ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৭।
বুধবার বিকেলে র্যাব-৭ এর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেজর মুশফিক, মেজর নাছির, র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার প্রমুখ।
আাটকৃতরা হলেন- মো.আবুল কালাম (২৭), মো. আবুল ফয়েজ (৫০)। আটক রোহিঙ্গারা হলেন- মো. মনির হোসেন (৪৫), মো. আলম (৪১), মো. রফিক (২৯), মো. ইয়াহিয়া (২৮), মো. দীল মোহাম্মদ (২৩), মো. মজিবুর রহমান (১৯), মো. আব্দুল মজিদ (২৮), মো. তারেক (১৯), মো. হোসেন (৪২), মো. বশির আহাম্মদ (২২), মো. মঞ্জুর আলম (১৯) ও মো. একরাম উল্লাহ। রোহিঙ্গারা কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসব মাদক পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা একটি বড় চালান কক্সবাজার থেকে সাগর পথে ফিশিং বোটে বহন করে খালাসের জন্য নগরের পতেঙ্গা এলাকায় দিকে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী নদী এলাকায় র্যাবের আভিযানিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
বুধবার ভোর পৌনে ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করলে একটি ফিশিং বোটের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে বোটটি তল্লাশি করে ১২ জন রোহিঙ্গাসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানো মতে বোটের ভেতর ৩টি ট্রাভেল ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৩ হাজার ৯৬ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ বোটটি জব্দ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবত মিয়ানমার থেকে সাগর পথ ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় বড় চালান বাংলাদেশে এনে পরবর্তীতে তা ঢাকা, চট্টগ্রাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পাচার করে আসছে।
উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা। বোটটির মালিক বাংলাদেশি। ১২ জন রোহিঙ্গাকে মাছ ধরার জন্য দৈনিক বেতনের ভিত্তিতে বোটটি রাখা হয়েছিল। দেশি ও বিদেশি গ্রুপ মিলে ইয়াবাগুলো আনা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ তাদের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করত।