রাজধানীর পল্লবী এলাকার কলেজপড়ুয়া সেই তিন শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওই তিন শিক্ষার্থী বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। তাদের খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। এদিকে, বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও শিক্ষা সনদ নিয়ে সেই তিন বান্ধবীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে।
নিখোঁজরা হলেন- কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা প্রত্যেকে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারি পাড়া কলেজে পড়াশোনা করছে। তারা একে অপরের বান্ধবী।
আরও পড়ুনঃ পল্লবীতে ৩ কলেজছাত্রী একসঙ্গে উধাও
গতকাল শনিবার (২ অক্টোবর) রাত ৯টায় ৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। মামালার বাদী নিখোঁজ শিক্ষার্থী কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসার বোন এডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ। মামলার আসামিরা হলেন- মো. তরিকুল্লাহ, রকিবুল্লাহ, জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া, শরফুদ্দিন আহম্মেদ আয়ন। মামলায় ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্লবী থানার এস আই সজিব খান বলেন, এ ঘটনায় পল্লবী থানায় আজ (শনিবার) রাতে মামলা হয়েছে। আর ৪ জন অসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি রকিবুল্লাহ জানিয়েছে ওই ৩ তিন বান্ধবী বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর বেশি তথ্য আপাতত পুলিশের কাছে নেই।
এদিকে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, একটি মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা ওই তিন শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে নিখোঁজ করেছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তারা শিক্ষার্থী নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, স্কুল সার্টিফিকেট ও মূল্যবান সামগ্রী সঙ্গে করে নিয়ে গেছে।
দিলখুশ জান্নাত নিসার বোন এডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি শুনেছি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল বলেছে- আমার বোন ও তার বান্ধবীরা জাপান চলে গেছে। আর তরিকুল সব জানে। সে পাসপোর্ট অফিসে দালালি করে। সে হয়তো নিখোঁজ শিক্ষার্থীদেরকে গোপনে পাসপোর্ট করে দিতে পারে।