বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসায় বেড়াতে গিয়ে লাশ হওয়া রাজধানীর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রমাণ মিলেছে।
এমনকি তার শরীরে ‘ফরেন বডি’ ব্যবহারের আলামতও পাওয়া গেছে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে ডিএনএ রিপোর্টে।
আনুশকার ডিএনএ রিপোর্ট নিয়ে কাজ করার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ছিলেন ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান।
এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ফরেন বডি ইনট্রোডাকশানও পাওয়া গেছে।’
আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আহসান হাবিব পলাশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে। দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হতে পারে।’ এর আগে, আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ডিএনএ পরীক্ষা করতে গত ১০ জানুয়ারি নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
উল্লেখ্য, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বাসা থেকে বের হয় আনুশকা। পরে ডলফিন গলিতে বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে। পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা হয়।
ঘটনার পরের দিন ৮ জানুয়ারি এ ঘটনার একমাত্র আসামি ও আনুশকার বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তুললে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পাশবিকতা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান আইনাজীবীরা।
ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায় সে। হাসপাতালে আসার আগেই মেয়ের মৃত্যুর খবর পান মা। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন দিহান।