চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম সাগর। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে। তিনি পেশায় একজন ট্রাক চালক।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ{ওসি) হারুনুর রশিদ সাগরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাগরের বাবা মো. মোবারক হোসেন জানান, গত ১৪ অক্টোবর রাতে তার ছেলে হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে আলীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখান থেকে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হলে মঙ্গলবার সকালে সাড়ে সাতটায় সাগর মারা যায়।
সাগরের মা আমেনা বেগম জানান, পাঁচ সন্তানের মধ্যে সাগর সবার ছোট। সাগর হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা সুমন মাঝির মেয়েকে বিয়ে করেন। তার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোড সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন রাতে ডিগ্রি কলেজ রোডের রাসেল নামের এক যুবক তাকে ফোন করে মিছিলে ডেকে নেয় বলেও জানান তিনি।
১৩ অক্টোবর রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় স্থানীয় কিছু লোকজন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ওই মিছিল থেকে লক্ষ্মীনারায়ণ আখড়ায় ঢিল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।