চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ গ্রামের দশমিপাড়ায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জের ধরে নববধূকে তালাক দিয়েছেন বর।
রোববার (২৪ অক্টোবর) বিয়ের রাতেই দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ এবং কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে কনেপক্ষের লোকজন।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালে দশমী পাড়ার রহিম আলীর সৌদিপ্রবাসী ছেলে সবুজ আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
এদিকে, সবুজ আলী ১৫ দিন আগে দেশে ফেরেন। রোববার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নববধূকে তুলে আনতে যায় বরপক্ষ। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৫টার দিকে বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেওয়া হয়। বর সবুজ আলীর সঙ্গে খেতে বসেন তার বন্ধুসহ আত্মীয়-স্বজনরা।
খাওয়া শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন মাংস চাইলে কনেপক্ষের লোকজন দিতে না অস্বীকৃতি জানালে উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিন জনকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করেন।
কনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাত না খেয়ে দফায় দফায় শুধু মাংস চাচ্ছিলেন বরপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দুপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারামারি বেধে যায়। পরে রাতেই দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।’