নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক গৃহবধূকে (২৪) স্বামীর সহায়তায় দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মো. শরীফকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ নভেম্বর) ভোরে প্রযুক্তির সহায়তায় বয়ারচরের হাতিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মো. শরীফ উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা গ্রামের মৃত সিরাজের ছেলে। তিনি ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি। এ নিয়ে এ মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস।
তিনি বলেন, এ মামলায় আগে তিনজনসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। এদের মধ্যে দুজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় এজাহারনামীয় আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারী চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত ৩ আগস্ট নিজ এলাকা নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার দুই বছরের বাচ্চাকে নিয়ে হাতিয়ার মুক্তারিয়াঘাট থেকে ট্রলারযোগে রওনা দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বন্দরটিলাঘাটে গিয়ে পৌঁছান। ঘাটে নেমে একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিছুদূর যাওয়ার পর তার স্বামী সোহেলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলটি গতিরোধ করে তাকে নামিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলেন।
পরে তারা ওই গৃহবধূকে সিডিএসপি বাজার পার্শ্ববর্তী বান্ধাখালি গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সোহেল, হক সাব, রাশেদ, আক্তারসহ সাতজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে মুখের বাঁধন খুলে গেলে চিৎকার করেন ওই গৃহবধূ। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও স্বামী সোহেলকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নিঝুম দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সৌরজিৎ বড় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হক সাব, রাশেদ ও আক্তার হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে। এদের সবার বাড়ি নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা গ্রামে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন।