বরগুনার সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া মৃধা বাড়ি পারিবারিক একটি হেফজখানায় চেইন দিয়ে বেঁধে আ. আলিম (১২) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীর বাবা ফরিদ উদ্দীন নির্যাতনের সংবাদ জানতে পেরে ছেলেকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির পশ্চাৎদেশ, হাত, গালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করেন।
নির্যাতিত শিশু আলিমের বাবা গণমাধ্যমের কাছে বলেন, তার ছেলে পশ্চিম হেউলিবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। করোনায় মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় বাড়ির কাছে মৃধা বাড়ি মনোয়ার মাওলানার হেফজখানায় কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি করে।
হেফজখানা থেকে বাড়ি আসার জন্য ছুটি চেয়ে না পেয়ে পালিয়ে বাড়িতে আসে। শিক্ষক মারুফ হোসেন বাড়ি থেকে আলিমকে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসে। হেফজখানায় এনে চেইন দিয়ে বেঁধে মোশারেফ মাওলানার ছেলে জাবিরের সামনে আলিমকে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফরিদ উদ্দীন। ঘটনার পর থেকেই শিক্ষক মারুফ পলাতক।
হেফজখানার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি শোনার সাথে সাথে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার আগেই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।