নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বনদস্যু সর্দার নুরনবী ওরফে ‘নোব্বা চোরা’ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফরিদ সর্দারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান। নিহত ফরিদ সর্দার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালা মিয়ার ছেলে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক তরিক খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে আগে হত্যাকাণ্ডের শিকার ‘নোব্বা চোরার’ তৃতীয় সংসারের ছেলে আকবর (৩৫) ও সোহাগের (২৫) নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটায়।
প্রসঙ্গত, গত তিন বছর আগে স্থানীয় ‘নোব্বা চোরার’ বাজারে (বর্তমানে হাজী ইদ্রিছ বাজার) কুখ্যাত সন্ত্রাসী নোব্বা চোরাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফরিদ সর্দার।
নিহতের ছেলে জাকের হোসেন (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার বাবা মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের পক্ষে কাজ করায় বর্তমান চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর ইন্ধনে ‘নোব্বা চোরার’ ছেলেরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় চান মিয়া (৩৫) নামে আরও এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ফদির সর্দার তার বন্ধু চান মিয়াকে নিয়ে স্থানীয় বাংলা বাজারে ইরি ধান ক্রয় করতে যান। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের ছেলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বার বার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।