সচেতন বার্তা, ১৮ জুলাই:গত কয়েক বছরে টালমাটাল অবস্থা ঢাকার শেয়ার বাজারে। কখনো বেড়েছে প্রধান সূচক ও লেনদেন, আবার কখনো ধারাবাহিকভাবেই অব্যাহতভাবে দর হারানোর প্রবণতা দেখা গেছে। নতুন অর্থবছরের শুরু থেকে বাজার হাটতে শুরু করেছে উল্টোপথে। যা অব্যাহত আছে চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও।
গেলো কয়েকবছরের ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৫ শুরুটা হয় সাড়ে ৪’শ কোটি টাকা লেনদেন দিয়ে। সে বছর জুন মাসের প্রথম দিনেই লেনদেন ছুঁয়েছিলো ১ হাজার কোটি টাকায় আর সূচক অবস্থান করে ৪৬২৩ পয়েন্টে। তবে, এরপর আবারো কমতে থাকে লেনদেন। পুরো বছরেও আর ১ হাজার কোটি টাকা আর ছাড়াতে পারেনি ডিএসইতে।
তবে, আবারো কিছুটা লেনদেন ও সূচক বাড়তে দেখা যায় ২০১৬ সালের শেষের দিকে। ৮ ডিসেম্বর লেনদেন হয় প্রায় সাড়ে ১১’শ কোটি টাকা। ২৭ ডিসেম্বর ১২’শো ১০ কোটি টাকা লেনদেনে সূচক ছোঁয় ৫ হাজার পয়েন্টে।
২০১৭ শুরুতে কিছূটা ঘুরে দাড়াতে শুরু করে শেয়ারবাজার। একটু একটু করে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে সূচক। প্রথম ছয় মাসের বেশিরভাগ কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০০ কোটি টাকার বেশি। সূচকের অবস্থানও থাকে ৫ হাজারের ঘরেই। আগস্টের শেষ দিনে প্রধান সূচকের অবস্থান দাড়ায় ৬ হাজার ৬ পয়েন্টে। বছরের শেষ দিকে লেনদেন কিছুটা কমলেও বাজার সূচক ধরে রেখেছিলো ৬ হাজার পয়েন্টের ওপরে।
২০১৮ শুরুতেই আবারো উল্টচিত্র ঢাকার শেয়ারবাজারে। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে লেনদেন। শুরুর ৫ মাসে ৩০০-৫০০ কোটি টাকার মধ্যেই লেনদেন ঘোরাফেরা করে। কমতে থাকে সূচকও। ১০ জুলাইয়ে হঠাৎ করেই লেনদেন বেড়ে আবারো ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়। তবে সেদিন সূচকের অবস্থান ছিলো ৫৩৭১ এ।
কয়েক বছরের এমন অবস্থায় ২০১৯ এর শুরুটা হয়েছিলো ৫৩০ কোটি টাকা লেনদেন দিয়ে। পাঁচ দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়ে লেনদেন ছুয়েছে ১ হাজারের ঘর। তবে, সে অবস্থা আর ধরে রাখতে পারেনি বাজার। ফেব্রুয়ারিতেই কমতে থাকে লেনদেনও সূচক। নতুন অর্থবছরের বাজেটের বেশ কিছু পদক্ষেপেও অব্যাহত পতন ঠেকানো যায়নি। বরং লেনদেন কমে কখন কখনো ৩’শ কোটি টাকার নিচে চলে আসে। সবশেষ কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩০৯ কোটি টাকা। আর আগের দিনের থেকে প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাড়ায় ৫১৩৩ পয়েন্টে।
গেলো কয়েক বছরে নতুন করে যোগ হয়েছে অন্তত ৩০ টি কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন করে ৩৩৪ টি বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান।