জ্বালানি তেলের দাম না কমা পর্যন্ত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে ট্রাক–কাভার্ড ভ্যান মালিকেরা।
রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক সমিতি। ট্রাক মালিকেদের আরেক সংগঠন পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদও একই কথা জানিয়েছে।
তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে চলমান ধর্মঘট নিয়ে তাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কথা বলেনি। তাই তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওইদিন রাত ১২টা থেকেই কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রজ্ঞাপনে।
পরদিন থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশের মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলসহ সামাজিক সংগঠনগুলোও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধি প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে সারা দেশে ধর্মঘট শুরু পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। এই পরিবহণ ধর্মঘটে সারা দেশ অচল হয়ে পড়েছে। তিনদিন ধরে পরিবহণে ধর্মঘটে জিম্মি রয়েছেন সাধারণ মানুষ। শিকার হচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগের।
এদিকে ডিজেলের দাম বাড়ায় বাস ভাড়াও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরপাল্লার বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সার পরিবর্তে এখন ১ টাকা ৮০ পয়সা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে এখন ২ টাকা ১৫ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।
ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সারা দেশে তিন দিন ধরে চলা ধর্মঘটের মধ্যেই রোববার সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার বনানীতে বিআরটিএ দপ্তরে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ডিজেলের দাম বাড়ানোয় বাস ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। দূরপাল্লার প্রতি কিলোতে ১ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মহানগরে প্রতি কিলোতে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহানগরে বাস ভাড়া সর্বনিম্ন ৮ এবং ১০ টাকা করা হয়েছে। তবে সিএনজিচালিত কোনো গাড়ির ভাড়া বাড়বে না।