বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বিএসএফ’ এর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সম্প্রতি সিতাই সীমান্তে বিএসএফের গুলির ঘটনায় লেখক-বুদ্ধিজীবী-অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
আলোচিত ফেলানি হত্যাকাণ্ডের বিচার ঝুলে থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় নাগরিক অধিকার সুরক্ষার দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনায় উঠে আসে, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার আশপাশের মানবিক সংকটের বিষয়টি।
বক্তারা জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা প্রতিনিয়তই বিএসএফের কঠোর অনুশাসনে তাদের মানবাধিকার হারাচ্ছেন। সেইসঙ্গে গুলিতেও প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন বলেন, কাঁটাতারের মধ্যে বাস করছে মানুষ, যারা কোনো দোষ করেনি। শুধু দুটো দেশের মধ্যে নাগরিক আদানপ্রদান করায় তারা দোষী সাব্যস্ত হয়ে গেল?
আলোচনা সভার আয়োজক ‘বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’ – মাসুমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শুধু বাংলাদেশি নন, প্রাণ হারাচ্ছেন ভারতীয়রাও। শেষ কয়েক বছরে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর পরিসংখ্যানটাও তুলে ধরেন সংগঠনটির প্রধান কীরিটি রায়।
সীমান্তে নাগরিক অধিকার শীর্ষক এ আলোচনায় মানবাধিকার কর্মীসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি কোচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলির ঘটনা এবং ফেলানি হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ না হওয়াতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। যদিও বিএসএফ এর দাবি, সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে তারা বদ্ধ পরিকর।