টি-২০ বিশ্বকাপ শেষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় এসে সফরকারীরা প্রথমবারের মতো অনুশীলনে নামে সোমবার। তবে মিরপুরে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল তাদের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করায় আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়েছে এক মুহূর্তেই।
এ বিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গণমাধ্যমকে বলেন, জামায়াত ইসলামী এবং তাদের সহযোগীরা এখনও আছে। তরুণদের মধ্যে তাদের একটা বিরাট প্রভাব আছে। পাকিস্তানের প্রেম আছে। পাকিস্তানকে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চাইতে হবে এবং তাদের এই ঔদ্ধত্যের জন্য বাংলাদেশের কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাদের ক্রিকেট টিমের এই দেশে খেলবার কোনো দরকার নেই।
তাদের (পাকিস্তান) এমন কৌশলের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস। ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেন। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে সাকলায়েন মুশতাক যখন অনূর্ধ্ব-১৬ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে ছিলেন একই কাজ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্পেও এমনটা করতে দেখা গেছে সাকলাইনকে। এবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েও তিনি এটি অব্যাহত রেখেছেন।’
এদিকে দুইদিন আগে ঢাকায় পা রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সোমবার (১৫ নভেম্বর) মাঠে অনুশীলনে নামে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ১৯ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরের দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২০ ও ২২ নভেম্বর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।
টি-টোয়েন্টি শেষে দুই দল যাবে চট্টগ্রামে। সেখানে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৬ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।