শেরপুর সদর উপজেলায় মাদ্রাসাপড়ুয়া ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের ডুবারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক স্থানীয় ভাটিপাড়া সরকার বাড়ির বাসিন্দা।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুর মা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। একইদিন দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাককে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুর মা শেরপুরে মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। আর বাবা ঢাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালান। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ওই শিশু মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। পথে তাকে রাস্তায় একা পেয়ে জুস কিনে দেওয়ার কথা বলে পাশের ধান খেতে নিয়ে যান রাজ্জাক। পরে সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন তিনি। শিশুটির চিৎকারে পাশের মসজিদ ও আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে যায় এবং রাজ্জাককে আটক করে। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, ইতিপূর্বে রাজ্জাক তার নিকট আত্মীয়র দুই মেয়েকে ধর্ষণ করলে স্থানীয়ভাবে রফা হয়। পরে তিনি স্থানীয় একটি ছেলেকে বলাৎকার করলে সেই মামলায় প্রায় তিন বছর জেল খাটেন।
শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।