গাজীপুরার কাজীপাড়ার চন্দ্রিমা হাউজিংয়ে বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তৌসিফুল ইসলাম মুন্না (১৩) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রায়তাঁতের কাঠি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। ঘটনাস্থল কাজীপাড়ার চন্দ্রিমা হাউজিংয়ে একটি ফ্ল্যাটে মা-বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন কিশোর মুন্না।
নিহতের মামা হাফিজুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানান, মুন্নার বাবা মিজানুর রহমান রাজধানীর বনানী এলাকায় একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে চাকরি করেন। তার তিন ছেলের মধ্যে তৌসিফুল ইসলাম মুন্না দ্বিতীয়। মুন্না রাজধানীর উত্তরা শাখার শাহিন ক্যাডেট একাডেমির অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তিনি ওই স্কুলের ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন। অসুস্থতার কারণে গত রোববার ছাত্রাবাস থেকে টঙ্গীর বাসায় যান মুন্না।
নিহতের মামা হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে মুন্নার বাবা অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর মুন্নাকে বাসায় একা রেখে মা হামিদা আক্তার মুকুল তার ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান। পরে বাসায় ফিরে হামিদা ঘরের খাটের উপর গলায় গামছা পেঁচানো মুন্নার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। বাসা থেকে একটি মোবাইল এবং মুন্নার প্রিয় ক্যামেরাটি খোয়া যায়।”
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে এসআই আব্দুস সালাম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিহতের গলা, পেট ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
“ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা বাসায় একা পেয়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং গলা কেটে মুন্নাকে হত্যা করেছে।”
তার পেটে বড় ক্ষত হয়ে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা বাসা থেকে একটি মোবাইল এবং মুন্নার প্রিয় ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে এসআই সালাম জানান।