সচেতন বার্তা, ২৬ জুলাই:পরিবারের আপত্তি ছিল। তবুও থেমে থাকেনি প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত যাতে না গড়ায়, সেজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। আর এ নিয়ে টানাপড়েনে আত্মহত্যার পথে হাঁটলেন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শায়লা খাতুন (১৯)। শুক্রবার সকালে নগরীর শালবাগান এলাকার একটি নার্সিং কলেজের ছাত্রাবাস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শায়লার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা শায়লা আত্মহত্যা করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শায়লার মামা মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পবার দারুশা বেঘুরাগ্রামে নানার বাড়িতে থাকতো শায়লা। সেই সুবাদে রাজশাহীতেই পড়াশোনা করতো। এর মধ্যে একই এলাকার এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি পরিবারের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়।
তিনি আরও বলেন, এর জেরে কয়েকবার শায়লা ও তার প্রেমিককে নিষেধ করা হয়। এসময় শায়লা বলেছিল, আমি আর সম্পর্ক রাখবো না। তোমাদের (পরিবার) ইচ্ছাতেই বিয়ে করবো।
তারপরেও শায়লার সেই সম্পর্ক টিকে ছিল বলে স্থানীয়ভাবে জানতে পারে পরিবার। পরে তারা অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাদের ধারণা, এর জেরে হয়তো শায়লা আত্মহত্যা করেছে।
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোন এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শায়লার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে দিতে না চাওয়ায় আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।