সচেতন বার্তা, ২৭ জুলাই:সম্প্রতি কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর তিনদিনব্যাপী হেফাজতে নির্যাতনের মাধ্যমে বানোয়াট জবানবন্দি সংগ্রহসহ কয়েকটি অভিযোগ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
গতকাল শুক্রবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, ফেনীর নুসরাত হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রভাবশালীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশের একাংশের সম্পৃক্ততা ও নুসরাতকে অযাচিত হয়রানি এবং সম্প্রতি কক্সবাজার ‘মডেল পুলিশ স্টেশন’ এ ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর তিনদিনব্যাপী হেফাজতে নির্যাতনের মাধ্যমে বানোয়াট জবানবন্দি সংগ্রহের মতো অভিযোগ দেশের আইনের শাসনের জন্য অশনিসংকেত।
‘প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগসাজশে জোর করে বরগুনায় নিহত রিফাতের স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে মিন্নির বাবা ও তার আইনজীবীর অভিযোগে স্থানীয় পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে’ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্তের ওপর অপরাধের শিকার ব্যক্তি বা পরিবার ও আইনজীবী তথা সাধারণ মানুষের যে আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে তা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত ও সর্বজনবিদিত। আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। কিন্তু পুলিশের পেশাগত উৎকর্ষের সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, বন্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমেই তা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।
’গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত শিশু ও বিভিন্ন বয়সের নারীদের ওপর সহিংসতার সাম্প্রতিক উদ্বেগজনক পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত অপরাধের ঘটনায় সমাজের সব স্তরের আতংকিত মানুষ ন্যায়বিচারের জন্য ব্যাকুল। তেমনি এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে পুলিশের একাংশের কথিত যোগসাজশ বা হেফাজতে নির্যাতনের মতো আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযোগ্য আইনি প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী এ সংস্থার প্রতি জনগণের আস্থা অর্জনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশল প্রণয়ন এখন অন্যতম রাষ্ট্রীয় প্রাধান্য’- বিবৃতিতে বলা হয়।