fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িরাজশাহীরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রাবি ছাত্রলীগ নেতার হুঁশিয়ারি,'প্রভোস্ট-সাংবাদিক কে আসে আসুক’

রাবি ছাত্রলীগ নেতার হুঁশিয়ারি,’প্রভোস্ট-সাংবাদিক কে আসে আসুক’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাদার বখ্শ হলে প্রাধ্যক্ষের তুলে দেওয়া এক আবাসিক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র কক্ষ থেকে বাইরে ফেলে দেয়। শুক্রবার দুপুরে হলের ১৫৩ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে আবাসিক শিক্ষক সাজু সরদার গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মহিবুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ হাসান সোহাগ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী। তিনি সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ।

হল প্রশাসন ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে মহিবুল্লাহ ১৫৩ নম্বর কক্ষে উঠেন। শুক্রবার দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী গিয়ে তার বিছানাপত্র বাইরে ফেলে দেয়। তাকে রুম থেকে চলে যেতে বলেন।

বিষয়টি মহিবুল্লাহ হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে প্রাধ্যক্ষ হলের আবাসিক শিক্ষক সাজু সরদারকে ঘটনাস্থলে পাঠান। সাজু সরদার বিষয়টি সমাধানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ, হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রিন্স, ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান অপুকে নিয়ে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে বসেন।

খবর পেয়ে সেখানে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। আবাসিক শিক্ষক সাজু সরদার দুই শিক্ষার্থীর সিটের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে ছাত্রলীগকর্মী সোহাগ সমাধানে রাজি হয় নি। এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা বিছানা বের করার বিষয়ে হাউজ টিউটর সাজু সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এসময় এক সাংবাদিক হলের সিট বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতেই উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে যায়।

এসময় ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ বলেন, ‘এতোক্ষণ লিগ্যাল কথা হচ্ছিল। সিট বাণিজ্যের বিষয়টি আসলো কেন? এখন আমি এই ছাত্রকে হল থেকে নামিয়ে দেব। কে আসে আসুক। আপনি (আবাসিক শিক্ষক), প্রভোস্ট স্যার আর সাংবাদিক আসুক সমস্যা নাই।’

এ বিষয়ে আবাসিক হল শিক্ষক সাজু সরদার বলেন, হলের সিট নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমি দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। এসময় উচ্চস্বরে হয়ে সোহাগ ওই শিক্ষার্থীকে যেকোনো মূল্যে নামিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন। আমি বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীকে রুমে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ওই সিটে আমাদের ছাত্রলীগের এক কর্মী ওঠার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে অন্যজন উঠে। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে হাউজ টিউটর বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে মাদার বখশ্ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীম হোসেনের সাথে কথা বলতে একাধিকার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments