ঢাকার হাজারীবাগ শিকদার মেডিকেল এলাকা এবং কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর এলাকায় সোমবার ভোর রাতে গোলাগুলির ঘটনা দুটি ঘটে বলে র্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
র্যাব বলছে, হাজারীবাগে নিহত সুমন (৩৯) একজন অস্ত্র চোরা কারবারি। আর টেকনাফে নিহত আব্দুর রহমান (৪২) ও ওমর ফারুক (৩১) মাদকের কারবারে যুক্ত ছিলেন।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার ভোরে হাজারীবাগ শিকদার মেডিকেল এলাকায় র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে সুমন নিহত হন।
“র্যাবের টহল দল ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সুমন গুলি ছোড়ে। র্যাব পাল্টা গুলি চালালে সুমন আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।” আশিক বিল্লাহ বলেন, “সুমন একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। তার কাছে একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া গেছে।”
র্যাবের ঢাকা ব্যাটালিয়নের সদস্যরাই কক্সবাজারে গিয়ে ওই মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে থাকা র্যাব-২ ঢাকার সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, র্যাবের কাছে খবর ছিল টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান ঢাকায় পাচার করা হবে। এর ভিত্তিতে সোমবার ভোর রাতে র্যাবের একটি দল কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এলাকায় একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায়।
“ভোর রাতে টেকনাফের দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারকে র্যাব সদস্যরা থামার সংকেত দেয়। তখন ওই গাড়ি থেকে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। র্যাবও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ওই গাড়িতে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।”
তাদের প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলে মহিউদ্দিন ফারুকী জানান।
তিনি বলেন, ওই প্রাইভেট কার তল্লাশি করে ৩০০ বোতল ফেনসিডিল, ৪ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চারটি গুলি পেয়েছে র্যাব। টেকনাফে নিহত দুজনের মধ্যে আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ১২টি এবং ওমর ফারুকের বিরূদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে বলে র্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য।