মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে ফার্নিচারের মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া এই আগুনে কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গভীর রাতে আকস্মিক আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। ফার্নিচার মার্কেটের দোকানগুলো একের পর এক পুড়ে যায়। জেলার অন্যতম বৃহৎ এই ফার্নিচার মার্কেটে ঘুমন্ত লোকজন ছুটাছুটি করে এসেও দোকানের মালামাল বের করতে আনতে পারেনি। ফার্নিচার ছাড়াও হার্ডওয়ার, কাগজের ঠোঙ্গাসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে।
মার্কেটের পাশে রিকাবীবাজার খাল থেকে দমকলে পানি দিয়েও আগুন থামাতে ফায়ার কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। প্রচণ্ড তাপে আশপাশের মার্কেটেও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। দোকানগুলোর কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না। আগুনের তীব্রতা এত বেশী ছিল যে স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর মত অবস্থাও ছিল না। মার্কেটের উত্তর পাশের খেলার মাঠ থেকে লোকজন প্রত্যক্ষ করলেও তাপে সামনে যেতে পারছিল না।
ঘুমন্ত মিরকাদিমবাসী প্রাণান্তকর চেষ্টায়ও শেষ রক্ষা হয়নি। মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাই হয়ে গেছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী বীরমুক্তিযুদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ রাত ৩টায় জানান, আগুনে ১৩টি দোকান সম্পূর্ণ এবং চারটি আংশিক পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, আগুনের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয়রা ধারণা করছেন মার্কেটের পশ্চিম পাশে বটতলার বাঁশের গদি থেকে আগুনের সূত্রপাত। মশা তাড়ানোর জন্য রাতে এখানে আগুন জ্বালানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কমলাঘাট নৌ ফায়ার স্টেশনের একটি এবং মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের দুটি মোট তিনটি ইউনিটের চেষ্টায় ঘণ্টা খানেক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল আবেদীন ঘটনাস্থল থেকে জানান, মানুষের জান-মাল রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দীক ঘটনাস্থল থেকে বলেন, আগুনের শিখা অনেক উপরে উঠে যায়। আগুনের ভয়াবহতা অনেক বেশী থাকায় নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বিলম্ব এবং ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।